কাঁধে ব্যাগটা ঝুলিয়ে বাহিরে বের হয়ে গেল হোসেন। কিছুক্ষণ আগে কি হয়েছে তা এখন মাথা আনতে চাচ্ছে না। তার পরও সারদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে। খুব অসহ্য লাগছে। মানুষের ভিড় কাটিয়ে এগিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে তার। ভয়ংকর একটা পরিস্থির মতো ভেতরের ব্যাথাটা ভিড় করছে। তাড়া করছি বেদনার কান্নাটাও। মাথাটা বেশ চিন চিন করছে। সোজা বাসস্টানে গিয়ে পৌঁছতে হবে তাকে। সেখান থেকে নাই নগরের উদ্দেশ্যে বাস ধরবে। হোসেনের দু'চোখ দিয়ে অজোর স্রোতে জল গড়িয়ে পড়ছে। নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এমনটা হবে জানলে কখনো সে মানুষকে আপন ভাবতো না। সালমার মায়ের দুর্ব্যবহার এবং সালমার নিরবতা হোসেনের মনে প্রচন্ড আঘাত করেছে। যে মহিলাকে সে মায়ের মতো জেনেছে সে কিনা আজ...........ভাবতে হোসেন আরো শিউরে উঠছে। সালমার দেয়া প্রথম উপহারটা এই মুহুর্তে জোৎসই যন্ত্রনাটা আরো একটু বাড়িয়ে দিচ্ছে। হোসেন সালমার দেওয়া উপহারটার দিকে এক নজর তাকিয়ে ভাবছে এটি রাখা যায় কিনা। কেননা যে উপহারটা কয়েক ঘন্টা আগেও মনের সন্দুকে সাজিয়ে রাখা ছিল সে এখন কিভাবে তার কাছে থাকবে। যদি স্মৃতি হয়ে রাখে তাহলে তিল তিল করে যন্ত্রনাটা আরো বেশি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে। ধুমড়ে মুচড়ে একাকার করে দিবে প্রতিনিয়ত। তার চেয়ে ...........না হোসেন কি করবে ভেবে পাচ্ছে। সালমার সাথে হোসেনর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। হোসেন ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সালমার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সালমাও হোসেনকে পছন্দ করতো মনের দিক থেকে। এমন ধরনের ছেলে সালমার জীবনে আর আসেনি। অদ্ভুদ রূপ ধারন করে মানুষ সৃষ্টি হয় সালমা কখনো তা জানতো না। বিশেষ করে ছেলেরা এ ধরনের হয় সে তো ধ্র“ব সত্যের ছায়াবীথি। এতো উঠছি উঠছি করছো কেন হোসেন। আরো একটু বসনা। বাসায় গিয় এখন কি করবে। তার চেয়ে আমরা এখানে বসে আরো কিছু সময় গল্প করি। দেখো এখানকার প্রাকৃতিক আবহাওয়া কেমন সুন্দর। প্রকৃতির বাতাস গায়ে মাখ দেখবে পড়ন্ত বিকালে কি সুখ খুঁজে পাবে তোমার মাঝে। না আমার বাতাস গায়ে মাখা লাগবে না। আর এই মুহুর্তে আমি গল্প -টল্প পছন্দ করছি না। তোমার মনে চাইলে থাকতে পারো। দেরী হলে খালাম্মা চিন্তা করবেন। আরে বসতো। আমি মাকে বলেছি আজকে ফিরতে দেরী হবে। আচ্ছা বসবো কিন্তু তোমার গল্প আমার শোনার ইচ্ছা এখন নেই। কেন ইচ্ছা নেই। কারণ প্রতিদিন তোমার এক গল্প শোনতে শোনতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। পারলে নতুন কিছু বল। নতুন কিছু শুনতে চাও। কি আছে তোমার কাছে নতুন শুনি। তার পর বলো আমরা তো দীর্ঘদিন যাবত এক সাথে পড়ছি। এর মধ্যে আমার মাঝে তুমি কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেছ? কই কিছুই তো তোমার মাঝে পরিবর্তন দেখছি। যত দিন দেখছি তত তুমি মোটা হয়ে যাচ্ছ। হোসেন তুমি পাজলামা করবে না। সত্যি করে বল তুমি কিছু লক্ষ করেছ। সালমা খুব আবেগ দিয়ে কথাটা বলছে হোসেনকে। কি পরিবর্তন? তাছাড়া তুমি আমিতো এক সাথেই থাকি। তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছি বর্তমানেও তুমি তাই আছ আর কি দেখবো নতুন করে। আমি কি আমাকে দেখার জন্য বলছি। তাহলে কি বলছো আমিতো আজকে তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে এই কথা বলার কারণ কি? রাতে তোমার ঘুম হয়নি। না। সংক্ষেপে উত্তর দিল। মানে কি। মানে তুমি বুঝ না? না বুঝি না। দয়া করে তুমি বুঝিয়ে দাও। হোসেন আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে আমি বিয়ে করতে চাই। তুমি কি পাগল হলে? হ্যাঁ আমি পাগল, তোমার জন্য পাগল। তোমাকে না পেলে আমি বাঁচবো না হোসেন। ওঠ সালমা বাসায় ফিরতে হবে। আমার কথার জবাব দিবে না। তোমার কথার জবাব আমার কাছে নেই। কেন নেই? যা সম্ভব নয়, তা কেমন করে সালমা কথা শেষ করতে না দিয়ে বলল কেন সম্ভব নয়। সালমা আমি আর তুমি এক নয়। তুমি তো জান আমাকে তোমরা দয়া করে তোমাদের বাসায় রেখে পড়ালেখা করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছ। এখানে যদি কোন রকম দুঃস্বপ্ন আমাকে দেখতে হয় তা হলে বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একবার চিন্তা করেছ? আমি সব কিছু চিন্তা করেই তোমাকে আমার মনের কথা জানিয়েছি হোসেন। আর কোনটা দয়া বলছ। আমি তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্যই তোমাকে আমাদের বাসায় এনেছি। কারণ তোমাকে আমি এক নজর না দেখতে আমার কিছুই ভালো লাগে না। সালমা ঐসব চিন্তা বাদ দিয়ে বাসায় চল। না আমি তোমার মুখ থেকে জবাব শুনে যাব। তা হলে তুমি থাক আমি চলে যাচ্ছি। হোসেন গ্রামের ছেলে। শহরে তার আপন বলতে কেই নেই। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর কয়েক মাস হোটেলে থেকে পড়ালেখা করতে হয়েছে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে তার চমৎকার সুনাম আছে। সব শ্রেণিতে পাসডিভিশন মার্ক নিয়ে এসেছে। ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বিষয়ে অনার্স করছে। সালমাও বাংলা বিষয়ের উপর অনার্স করছে। প্রথমে সালমা হোসেনের বিষয়ে জানার কোন ইচ্ছা ছিলনা। কিন্তু হোসেনের আচার ব্যবহার ও সততায় সালমা মুগ্ধ হয়ে গেছে। সালমা বলছে এ যুগে এখনো মানুষ এমন হয়। যার চালচলন খুবই মুগ্ধকর। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলারতো একটা ভিন্ন স্বাধ আছে। কিন্তু ছেলেটাকে যত দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। একদিন হঠাৎ করেই সালমা হোসেনের সামনে দাঁড়িয়ে গেল। কি নাম তোমার। সালমা হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলো। আমি হোসেন। কোথায় থাক। মতিঝিল। তুমি মতিঝিল থেকে আস। হ্যাঁ, কিন্তু আপনি? আমি সালমা, এই বলে হাত বাড়িয়ে দিল সালমা হোসেনের দিকে। হোসেন সালমার দিকে হাত না বাড়িয়ে বলল থাক। সালমা নরম হাসি দিয়ে বলল ভয় পাবার কিছু নেই। আমি ভয় পাচ্ছি না। তা হলে হাত মেলাতে আপত্তি কিসের। আপনার সাথেতো আমার পরিচয় নেই। কি জন্য হাত মেলাবো? এই মাত্রইতো পরিচয় দিয়েছি। আমি সালমা তুমি হোসেন । এই পরিচয় হাত মেলাতে হবে নাকি? আচ্ছা থাক মেলাতে হবে না। তুমি মাইন্ড করছ। আমরাতো দুজন একেই সাথে পড়ছি তাই না। সে অধিকারে আমরা এক সাথে আসা যাওয়াও করতে পারি। আপনি ঠিক বলেছেন। আচ্ছা তুমি এখনও আমাকে আপনি আপনি বলছ কেন। দেখছো না আমি তোমাকে তুমি বলে ডাকছি। সেটা আপনার অধিকার। কেন তোমার অধিকার নেই। আচ্ছা বলার চেষ্টা করবো। তা হলে আজ থেকে আমাদের দুজনের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গড়ে উঠল। কি বলো তুমি। সেটা করা যায়। তা হলে চল কোথায় রেস্টুরেন্টে যাই। হোসেন প্রথমে আপত্তি জানালো। সালমা বলল ভয় নেই। হোসেন বলল আজ নয় পরে একদিন যাব। আমাকে বাসায় যেতে হবে। তুমি এখন মতিঝিল যাবে? হ্যাঁ। তুমি এতো দূরে বাসা নিলে কেন? হোষ্টেলেও তো থাকতে পার। মতিঝিলে কোন আত্মীয়ের বাসায় উঠেছ নিশ্চয়। না আমার কোন আত্মীয় নেই। ভার্সিটির হোটেলে রুম পাওয়া যায়নি। তাই আমার এক বন্ধুর মামার বাসায় উঠছি কিছু দিনের জন্য। যদি আশে পাশে কোথায়ও খালি পাই তাহলে বাসা নিবো। তোমার আর বাসা খোঁজতে হবে না। কাল থকে তুমি আমাদের বাসায় থাকবে ঠিক আছে। কি বলছো তুমি। আমি ঠিকই বলেছি। আর কোন আপত্তি নয়। সে থেকে হোসেন সালমাদের ফ্যামিলির একজন হয়ে গেছে। সালমার মা আফিদা বেগম বলেন তোমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা পর্যন্ত এখানে থাকবা বাবা। আমাদের কোন অসুবিধা নেই। উপরে তোমার জন্য রুম করা আছে। সালমা আমাকে তোমার ব্যাপারে সব বলেছে। আজ থেকে তোমার খাওয়া দাওয়া আমাদের সাথে হবে। বাসায় এসে হোসেন আজকের বিষয় নিয়ে ভাবছে। কি থেকে কি হল। সালমা এমনটা বলবে তা হোসেন চিন্তাও করেনি। তাদের দয়ায় সে এবাসায় থাকছে। এ অবস্থানে সালমার সাথে প্রেম করাতো আকাশ কুসুম চিন্তা করা। হোসেন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। এক দিকে সালমার অসহায় প্রোপজাল অন্য দিকে তার মার ব্যবহার। সব চিন্তাকে অপেক্ষা করে হোসেন তার ফাইনাল সিদ্ধান্তে এসে গেছে। সে সালমার প্রস্তাবে রাজি হল। কারণ সালমার মতা স্মার্ট মেয়ে তার জীবনে এলে তাকে আর পিছনে তাকাতে হবে না। প্রেম ভালোবাসা না হলে জীবন পরির্তন হয় না। সালমা উত্তম মনের অধিকারী। সে পারবে হোসেনকে আগলে রেখে জীবনের সব সুখটুকু বিলিয়ে দিতে। সালমার সে ক্ষমতা আছে। রাতে সালমা খাওয়ার টেবিলে আসেনি। দুপুরে হোসনকে এমন ভাবে চলে আসতে দেখে সে অনেক সময় ধরে বসে বসে কেঁদেছে। রুমে ডুকে আর বাহির হয়নি। শুয়ে শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। খাওয়ার টেবিলে না আসতে দেখে আফিদা বেগম হোসেন কে বলল যাওতো বাবা সালমাকে ডেকে নিয়ে এসো। আমার শরীরটা ভালো না। আমি বিছানাতে যাচ্ছি। তোমরা খেয়ে নিও। আফিদা বেগম চলে যাওয়ার পর হোসেন সালমার রুমে গিয়ে দেখে রুম অন্ধকারে। লাইট জ্বালানো নেই। হোসেন সুইচ চাপ দিয়ে দেখে সালমা উভু হয়ে কাঁদছে। হোসেনকে দেখে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করে দিল। হোসেন আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি আমাকে পিরিয়ে দিয়েও না। তোমাকে ছাড়া আমার একদন্ড চলবে না। আমি তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু বলতে সাহস পাইনি। হোসেনকে জড়িয়ে ধরাতে সে ভয়ে ভীতু হয়ে গেছে। তার শরীর থর থর করে কাঁপতে লাগল। এই প্রথম কোন মেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছে দেখে সে একটু দুর্বলও হয়ে গেছে। তাই ভয়ে সে বাকরোদ্র হয়ে গেছে। সালমা তাকে ধরে দুগালে চুমাত দেখে থীতু প্রায় সে। অনেকক্ষণ কিছুই বলতে পারেনি। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল তুমি যা বলছ তা তুমি ভেবেচিন্তে বলছোতো সালমা। আমি ভেবে বলছি। আচ্ছা কান্না থামাও। আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি। সফিককে দেখে অবাক হলো হোসেন। পিএইচডি করে সবে মাত্র লন্ডন থেকে এসেছে। সরাসরি সালমাদের বাসায় তার অবস্থান। সফিক সালমার মামাতো ভাই। সালমার সাথে তার বিয়ের কথা ফাকাফাকি। সালমার অনার্স শেষ হলে তাদের বিয় হবে। এটা তাদের পারিবারিক ভাবে সাপর্ট করা ছিল। সফিক পিএইচডি করতে যাওয়ার আগে সালমার সাথে তাদের এন্গেজ্মেন্ট হয়েছিল। সালমার হাতে যে আংটিটা ছিল তার বিবরণ শোনার জন্য হোসেন কয়েকদিন সালমাকে জিজ্ঞাসা করেছে। কারণ বিয়ের আগে বেশির ভাগ মেয়েরা কোন কিছু ব্যবহার করে না। সেটি চুড়ি, আংটি যাই হোক। যখন হোসেন আংটির বিষয়ে জানতে চাইতো তখনি সালমার মাঝে নীরবতা প্রকাশ পেত। হোসেন সে নীরবতা দেখে কিছু বলতো না। কিন্তু আজ সব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যখন শুনলো আফিদা বেগমের মুখ থেকে। আফিদা বেগম হোসেন কে দেখে সফিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে দিতে সব খুলে বললো। কথাগুলো শুনার পর হোসেনের সব কিছু শীতল হয়ে গেল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল খালাম্মা এ কথাতো আগে শুনিনি। ওমা ছেলে বলে কি। সালমা তোমাকে কিছুই বলেনি। কই নাতো। দেখ মেয়ের কান্ড। এতোদিন ধরে এক সাথে থাক আর নিজের বিয়ের কথা তোমাকে বলেনি। হোসেন বলল খালাম্মা আমি রুমে যাচ্ছি। সালমা যে এমনটা করবে হোসেন ভাবতেও পারেনি। আজ সালমার প্রতি তার ঘৃণা হচ্ছে। শহরের মেয়েদের কোন নীতি নেই। তারা ছেলেদের সাথে যা ইচ্ছাতাই করতে পারে। হোসেন সালমার উপর ক্ষোভ ছেড়ে দিয়ে রাগে দুঃখে শুইয়ে আছে। আজকে সে খেতেও আসছে না। প্রতিদিনের মতো সালমাও যেন একটু দূরে সরে আছে। হোসেন খাওয়া দাওয়া করতে না আসতে দেখে আফিদা বেগম সালমাকে বললো কি ব্যাপার হোসেনকে ডেকে নিয়ে আয়। সালমা হোসেনের রুমে গিয়ে দেখে হোসেন ঘুমিয়ে আছে। তার পাশে যেতেই তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। হোসেন এক দৃষ্টিতে সালমার দিকে তাকিয়ে আছে। হোসেন বলল সালমা তুমি কেন আমার জীবনটা এভাবে শেষ করে দিলে। সফিকের সাথে তোমার এন্গেজ্মেন্ট হয়ে আছে। তা জেনেও তুমি আমাকে ভালোবেসে ছিলে। এটা কি তুমি ঠিক করেছিলে? হোসেন তুমি যা জেনেছো তা ঠিক। কিন্তু আমারতো এই বিয়েতে কোন মত নেই। বিয়েতে মত নেই কিন্তু হাতে হবু স্বামীর দেওয়া আংটি যতœ সহকারে আছে। আফিদা বেগম এতক্ষণ আড়াল থেকে সব শুনে শিউরে উঠেছে। এমনটা হবে যে সে কখনো ভাবেনি। নিজেকে সংযোত করে আড়াল থেকে সরে গেছেন। সালমার এতো বড় আসপর্দা হয়েছে কি করে। সামান্য একটা গ্রামের ছেলের প্রেমে পড়ে আমার মান সম্মান ধুলিস্মাৎ করার চিন্তা করছে। এদিকে সফিকও বাসায়। সে জানতে পারলে মুসকিল হয়ে যাবে। তখন সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারবো না। লোকে জানার আগে ছেলেটাকে বিদায় করতে হবে। না করলে সফিকের কাছে আমার মান সম্মান সব ভেস্তে যাবে। পরদিন সকালে সালমাকে সামনে রেখে হোসেনকে আফিদা বেগম কয়েকটা কড়া কথা বলে দিলেন। বিশেষ করে বড়লোকরা যা বলেন। হোসেন কিছুই বলতে পারেনি। কারণ তার সার্প্ট হিসেবে সালমা থাকাকালিন যেহেতু তার পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ হয়নি। সেখানে হোসেন তো নির্বাক। সে নিরব ভূমিকায় মাথা নিচু করে বেগটা কাঁধে নিয়ে বের হয়ে গেল। বাসে বসে শুধু সালমার আজকের আচরণের কথা ভাবছে। বাস চলছে নাই নগরের দিকে আর হোসেনে দুঃখটাও চলছে তার সাথে সাথে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
গোবিন্দ বীন
ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।